প্রথম দেখা (পর্ব - ১)
ঢাকার বাইরে এক ছোট শহরতলিতে অবস্থিত একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। সকাল ৮টা। স্কুলের মাঠে ছাত্রছাত্রীরা জড়ো হয়েছে। অপূর্ব, ক্লাস ৮-এর ছাত্র, বন্ধুদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে আছে।
আজকের দিনটি অপূর্বর জন্য বিশেষ কিছু নয়। তবে তার বন্ধু রিয়াজ জানায়, তার ছোট বোন রিনি আজ ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে।
অপূর্বের কৌতূহল জাগে। সে অপেক্ষা করতে থাকে রিনির আগমনের জন্য।
ক্লাসরুমে শিক্ষক নতুন ছাত্রী রিনিকে পরিচয় করিয়ে দেন। রিনির চেহারায় এক ধরনের মায়াবী সৌন্দর্য। অপূর্বর চোখ স্থির হয়ে যায় তার দিকে।
বিরতির সময় করিডোরে অপূর্ব রিনিকে দেখে থমকে যায়।
"হ্যালো, তুমি রিনি, তাই না?"
"হ্যাঁ, তুমি অপূর্ব?"
"হ্যাঁ, তোমার ভাইয়ের বন্ধু।"
রিনি হেসে বলে, "ভালো লাগলো তোমার সঙ্গে কথা বলে।"
সন্ধ্যায় অপূর্ব বাসায় ফিরে ডায়েরিতে লিখে, "আজ রিনির সঙ্গে প্রথম কথা হলো। তার হাসি যেন মন ছুঁয়ে গেল।"
এই প্রথম দেখা অপূর্বর জীবনে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে।
নতুন ক্লাসে ভর্তি হওয়ার পর, রিনি প্রথম দিনেই বুঝতে পারে, এই স্কুলে তার জন্য সবকিছুই নতুন। ক্লাসরুম, শিক্ষক, সহপাঠী—সবকিছুই অপরিচিত। তবে তার ভাই রিয়াজের বন্ধু অপূর্ব যেন একমাত্র পরিচিত মুখ।
অপূর্ব লক্ষ্য করে, রিনি ক্লাসে কিছুটা অস্বস্তিতে আছে। সে এগিয়ে যায়।
"তুমি কি কিছু খুঁজছো?" অপূর্ব জিজ্ঞাসা করে।
"না, মানে... নতুন বইগুলো কোথায় রাখবো বুঝতে পারছি না," রিনি উত্তর দেয়।
অপূর্ব হেসে বলে, "চলো, আমি দেখিয়ে দিই।"
সেই শুরু। প্রতিদিন স্কুলে অপূর্ব রিনিকে সাহায্য করতে থাকে। কখনো হোমওয়ার্কে, কখনো ক্লাসের নোটে। রিনিও ধীরে ধীরে অপূর্বর সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতে শুরু করে।
একদিন বিরতির সময়, করিডোরে হাঁটতে হাঁটতে অপূর্ব বলে, "তুমি কি জানো, তোমার হাসি খুব সুন্দর?"
রিনি লজ্জায় মুখ নিচু করে ফেলে।
এই বন্ধুত্বের শুরুতেই যেন এক অদ্ভুত অনুভূতি কাজ করতে থাকে অপূর্বর মনে। সে বুঝতে পারে, রিনির প্রতি তার অনুভূতি শুধুমাত্র বন্ধুত্বের নয়।
চলবে------( খুব শীঘ্রই ২য় পর্ব আসছে )