Sunday, May 25, 2025

"অপূর্ব প্রেম"

 


প্রথম দেখা (পর্ব - ১)

ঢাকার বাইরে এক ছোট শহরতলিতে অবস্থিত একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। সকাল ৮টা। স্কুলের মাঠে ছাত্রছাত্রীরা জড়ো হয়েছে। অপূর্ব, ক্লাস ৮-এর ছাত্র, বন্ধুদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে আছে।

আজকের দিনটি অপূর্বর জন্য বিশেষ কিছু নয়। তবে তার বন্ধু রিয়াজ জানায়, তার ছোট বোন রিনি আজ ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে।

অপূর্বের কৌতূহল জাগে। সে অপেক্ষা করতে থাকে রিনির আগমনের জন্য।

ক্লাসরুমে শিক্ষক নতুন ছাত্রী রিনিকে পরিচয় করিয়ে দেন। রিনির চেহারায় এক ধরনের মায়াবী সৌন্দর্য। অপূর্বর চোখ স্থির হয়ে যায় তার দিকে।

বিরতির সময় করিডোরে অপূর্ব রিনিকে দেখে থমকে যায়।

"হ্যালো, তুমি রিনি, তাই না?"

"হ্যাঁ, তুমি অপূর্ব?"

"হ্যাঁ, তোমার ভাইয়ের বন্ধু।"

রিনি হেসে বলে, "ভালো লাগলো তোমার সঙ্গে কথা বলে।"

সন্ধ্যায় অপূর্ব বাসায় ফিরে ডায়েরিতে লিখে, "আজ রিনির সঙ্গে প্রথম কথা হলো। তার হাসি যেন মন ছুঁয়ে গেল।"

এই প্রথম দেখা অপূর্বর জীবনে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে।

নতুন ক্লাসে ভর্তি হওয়ার পর, রিনি প্রথম দিনেই বুঝতে পারে, এই স্কুলে তার জন্য সবকিছুই নতুন। ক্লাসরুম, শিক্ষক, সহপাঠী—সবকিছুই অপরিচিত। তবে তার ভাই রিয়াজের বন্ধু অপূর্ব যেন একমাত্র পরিচিত মুখ।

অপূর্ব লক্ষ্য করে, রিনি ক্লাসে কিছুটা অস্বস্তিতে আছে। সে এগিয়ে যায়।

"তুমি কি কিছু খুঁজছো?" অপূর্ব জিজ্ঞাসা করে।

"না, মানে... নতুন বইগুলো কোথায় রাখবো বুঝতে পারছি না," রিনি উত্তর দেয়।

অপূর্ব হেসে বলে, "চলো, আমি দেখিয়ে দিই।"

সেই শুরু। প্রতিদিন স্কুলে অপূর্ব রিনিকে সাহায্য করতে থাকে। কখনো হোমওয়ার্কে, কখনো ক্লাসের নোটে। রিনিও ধীরে ধীরে অপূর্বর সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতে শুরু করে।

একদিন বিরতির সময়, করিডোরে হাঁটতে হাঁটতে অপূর্ব বলে, "তুমি কি জানো, তোমার হাসি খুব সুন্দর?"

রিনি লজ্জায় মুখ নিচু করে ফেলে।

এই বন্ধুত্বের শুরুতেই যেন এক অদ্ভুত অনুভূতি কাজ করতে থাকে অপূর্বর মনে। সে বুঝতে পারে, রিনির প্রতি তার অনুভূতি শুধুমাত্র বন্ধুত্বের নয়।

চলবে------( খুব শীঘ্রই ২য় পর্ব আসছে )


Friday, May 23, 2025

"তবুও তুমি"

 

পর্ব ৯: ভালোবাসা, অনুচ্চারিত


নভেম্বরের শেষ দিকে এক বিকেল।


সমুদ্র অফিসে কাজ করছিল।

হঠাৎ মোহনা থেকে একটি ছোট্ট মেসেজ আসে—

“আজ তোমার কোলনির পাশে গিয়েছিলাম, ইচ্ছে করেই।”


সমুদ্রের বুক কেঁপে ওঠে।

সে জানে, তার বাড়ির পাশেই একসময় মোহনার মামাবাড়ি ছিল।

সেখানে এসেছিল মোহনা—কত বছর পরে!

সে সঙ্গে সঙ্গে রিপ্লাই করে—

“তুমি আমাকে না জানিয়ে এলে?”


মোহনা লেখে—

“চাইনি চোখে চোখ পড়ুক…

আমি শুধু চেয়েছিলাম, একটু হেঁটে যাই তোমার শহরের পথে।

যেখানে হয়তো তোমার ছায়া লেগে থাকে ফুটপাতের ধুলোতেও।”


সমুদ্র কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে টাইপ করল—

“তুমি কি জানো, আমি এখনো তোমার জন্য অপেক্ষা করি…

যদিও জানি তুমি কখনো আসবে না।”


সেই রাতে…

সমুদ্র তার বালিশের নিচে মোহনাকে লেখা পুরনো একটি চিঠি রাখল।

যেটা সে কখনো পাঠায়নি।

লেখা ছিল—


“তুমি ছিলে আমার প্রিয় অভিমান।

তোমাকে ছাড়া জীবন হয়তো হয়েছে—

কিন্তু পূর্ণতা পায়নি।”


মোহনার পক্ষে থেকেও সে আর কিছু লেখে না।

তবে তার প্রোফাইলে একদিন দেখা গেল নতুন একটি কভার ফটো—

একটি কবিতা:


“আমরা না হয় ছুঁতে পারিনি,

তবুও ভালোবেসেছিলাম তো…

এই কি কম কিছু?”



বছরের শেষ মাস—ডিসেম্বর।

সমুদ্র এখন প্রমোশন পেয়েছে, ছেলেটা স্কুলে, স্ত্রী ব্যস্ত সংসার নিয়ে।

সবকিছুই ঠিকঠাক চলে…

তবুও কিছু একটা ভিতরে খালি।


মোহনাও আগের মতোই ব্যস্ত—

ঘড়ির কাটায় জীবন কাটছে।

তবে মেসেঞ্জারে আর খুব একটা কথা হয় না।

শুধু মাঝে মাঝে—হঠাৎ গভীর রাতে

সমুদ্র অনলাইন আসে…

মোহনা কিছু দেখে না,

কিন্তু অনুভব করে।


এক সন্ধ্যায়, সমুদ্র বারান্দায় বসে মোহনার প্রোফাইলে যায়।

প্রোফাইল পিকচারে নতুন ছবি—একটা বইয়ের পাতা,

কবিতার লাইন লেখা:


“আমাদের গল্পটা কেউ জানে না—

কারণ আমরা কেউ বলতে শিখিনি,

ভালোবাসা শব্দের বাইরে গিয়ে যত গভীর হয়।”


সমুদ্র শান্তভাবে হাসে।

চোখের কোণে একফোঁটা জল।

সে জানে, এই ভালোবাসা কোনো ‘হ্যাপি এন্ডিং’ পায়নি,

তবু এটাই তার জীবনের সবচেয়ে সত্য অনুভূতি।


সে লিখে,

“মোহনা, আমরা হয়তো জীবনটা কাটিয়ে ফেললাম…

কিন্তু হৃদয়টা রেখে গেলাম একে অপরের কাছে।

তুমি আমার হৃদয়ের সেই নদী,

যার পাড়ে আমি প্রতিদিন বসে থাকি—

ভেসে যাওয়া এক ভালোবাসার অপেক্ষায়।”

---

মোহনা আর রিপ্লাই করে না।

হয়তো পড়ে…

হয়তো চোখ মুছে আবার উঠে যায় নিজের কাজে।


তাদের গল্পটা শেষ হয় না,

কারণ কিছু গল্প কখনো শেষ হয় না।


সে গল্পগুলো নিঃশব্দে বেঁচে থাকে—

ক্যাফের কোণায়, ফেসবুক ইনবক্সে, অথবা…

ভোরের প্রথম আলোয় ভেসে আসা এক দীর্ঘশ্বাসে।

---


শেষ।

Wednesday, May 21, 2025

"তবুও তুমি"


 “তবুও তুমি"

পর্ব ৭: 

হঠাৎ দেখা

সময়: অক্টোবরের মাঝামাঝি।

স্থান: ঢাকা বইমেলা প্রাঙ্গণ, শীতের হালকা স্পর্শে ভেজা বিকেল।

সমুদ্র অফিসের কাজে বাইরে এসেছিল।

ছুটির ফাঁকে ঢুকে পড়ল মেলায়, হালকা হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎই তার পা থমকে গেলো এক স্টলের সামনে।

একটা বই হাতে দাঁড়িয়ে আছে একজন নারী।

চোখে চশমা, হাতে একটা সাদা শাল।

কিন্তু সমুদ্রের হৃদয় থেমে গেলো চোখের দৃষ্টিতে।

মোহনা।

১৭ বছর, তারপর মেসেঞ্জারের হাজার কথা—

আর আজ, হঠাৎ… সামনে!

সমুদ্র নিঃশব্দে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইল।

মোহনাও ধীরে ধীরে তাকিয়ে দেখে ফেলল ওকে।

দুইজনে দাঁড়িয়ে, মুখোমুখি।

কথা নেই, তবু হাজার কথা।

মোহনা হালকা একটা হাসি দিয়ে বলল—

“অবশেষে, চোখে চোখ।”

সমুদ্রের গলায় কথা আটকায়।

তবু বলে,

“তোমাকে এখনো ঠিক আগের মতোই দেখাচ্ছে।

একটু পরিণত, কিন্তু তবু মোহনা।”

মোহনা চোখ নামিয়ে বলল—

“তুমি আগেও এমন ছিলে… আজও তেমনই আছো।

শুধু এখন আমরা জানি, আমাদের মাঝে কিছুই নেই…

তবু কিছু একটা রয়ে গেছে।”

ওরা বসে পড়ে মেলার পাশে এক কোণায়।

চা খেতে খেতে স্মৃতি, জীবন আর অসম্পূর্ণ ভালোবাসার পাতায় পাতায় হাঁটে।

মোহনা বলে—

“তুমি কখনো অনুভব করো না, আমরা যদি একটু আগে সাহসী হতাম…?”

সমুদ্র ম্লান হাসে—

“তুমি পাশে না থেকেও আছো।

সারাজীবনের মতো।”

সেদিনের সেই বিকেল… হয়তো শেষ দেখা নয়,

কিন্তু কিছু দেখা শুধু একবার হলেই চিরকাল থেকে যায়।


সেই বিকেলের দেখা শেষ হওয়ার পর

সমুদ্র আর মোহনা আবার ফিরে যায় তাদের নিজ নিজ জীবনে।

তবে কিছু একটা বদলে যায় ভেতরে ভেতরে।


এখন আর প্রতিদিন কথা হয় না,

তবে যেদিন হয়, সেদিন হৃদয় ঝরে।


সমুদ্র একদিন মেসেজে লিখল—

“তোমার মুখটা এখনো প্রতিদিন দেখি,

চোখ বন্ধ করলেই।

তোমাকে ছুঁতে পারি না,

তবুও তুমি সবচেয়ে কাছের।”


মোহনা রিপ্লাই করল না।

কিন্তু রাত ১টা ১৭ মিনিটে একটা গান শেয়ার করল—

“তুমি আসবে বলে আমি পথ চেয়ে থাকি…”


সমুদ্রের সংসার ভালো চলছে।

স্ত্রী, সন্তান—সব আছে।

তবে মাঝে মাঝে সে খালি মনে বসে থাকে।

তাকিয়ে থাকে দূরের আকাশে—

যেখানে কোনো এক আড়ালে মোহনা আছে, মেসেঞ্জারে, মনে, সময়ের ওপারে।


মোহনার জীবনও চলে যাচ্ছে।

সে এখনো প্রতিদিন রান্না করে, বাচ্চার স্কুল সামলায়,

কিন্তু রাতে লুকিয়ে সমুদ্রের প্রোফাইল দেখে।

চোখে জল আসে না,

শুধু একটা দীর্ঘশ্বাস আসে—

“আহা! যদি একটুখানি সময় আমাদের পক্ষে থাকতো…”


একদিন সমুদ্র লেখে—

“তুমি না থেকেও আমার পাশে আছো,

এই বেঁচে থাকাটার মধ্যেই তুমি মিশে গেছো।

তুমি হয়তো দূরে,

কিন্তু আমার সব অনুভবের কেন্দ্রে একটাই নাম—মোহনা।”


শেষ লাইনে মোহনা উত্তর দেয়:

“আমি তোমার সেই না বলা কবিতা—

যে কবিতা কেউ পড়েনি,

তবু শুধু তুমিই জানো, আমার প্রতিটি শব্দে ছিলাম শুধু তোমার…”


চলবে…

খুব শীঘ্রই আগামী পর্ব আসছে [https://rb.gy/wa5pdi]


Tuesday, May 20, 2025

"তবুও তুমি"

পর্ব ৩ঃ না বলা কিছু কথা সন্ধ্যা নামছে। সমুদ্র অফিস থেকে বাসায় ফিরেই মোবাইলটা হাতে তুলে নিল। ফেসবুকে ঢুকেই নোটিফিকেশন এল— “মোহনা sent a voice message.” তার বুকটা ধক করে উঠলো। তবু কানেক্টেড হেডফোনে প্লে করল। মোহনার কণ্ঠে ঝরঝরে কাঁপা কাঁপা এক নিঃশ্বাস: “সমুদ্র, আজ তোমাকে অনেক বলতে ইচ্ছা করছে… যেদিন তোমাকে প্রথম দেখি, আমি বুঝেছিলাম—তুমি অন্য রকম। তোমার চোখে একধরনের শান্তি ছিল… যা আমার জীবনের সব অস্থিরতার ঔষধ হতে পারতো।” “কিন্তু আমরা তখন ছোট ছিলাম। সাহস ছিল না… তুমি কিছু বলোনি, আমিও চুপ করে থাকলাম। ভেবেছিলাম—পরিবারই বুঝে নেবে। কিন্তু বুঝলো না।” “আজও মাঝেমাঝে আয়নার দিকে তাকালে তোমার মুখটা দেখি। এই অনুভূতি, এই ভালোবাসা—কেউ বোঝেনা।” মেসেজ শেষ। সমুদ্র নিঃশব্দে কাঁদে। সেই রাতে সমুদ্র লিখে: “মোহনা, আমি এখনো তোমার জন্য গান শুনি। তোমার মেসেজের প্রতিটা শব্দ আমি মুখস্থ করে ফেলেছি। তোমাকে একদিন ভালোবাসতাম, আর এখন ভালোবাসা ছাড়া কিছুই জানি না।” তারা দুজনেই জানে, তারা কারো স্বামী বা স্ত্রী হয়ে আছে, তবু তারা একে অপরের কাছে আত্মার এক নিঃশব্দ আশ্রয়। একদিন মোহনা লেখে— “তুমি কি চাইতে, সময় যদি ফিরে যেত?” সমুদ্র অনেকক্ষণ চুপ থেকে উত্তর দেয়— “আমি চাই না সময় ফিরে যাক। তুমি এখন যেভাবে আছো, এই ভালোবাসার যে রূপ, সেটাই নিখুঁত। সময় ফিরলে হয়তো আমরা একসাথে থাকতাম… কিন্তু এই গভীরতা পেতাম না।” মোহনা কোনো উত্তর দেয় না। কিন্তু পরদিন সকালে একটা ছোট্ট মেসেজ আসে— “তুমি আমার জীবনের সবচেয়ে সত্যি অনুভব।” --- চলবে… পরবর্তী পর্ব পড়ার জন্য নিচের লিনহক-এ ক্লিল করুন >>>>>>>>>>>>>[https://rb.gy/wa5pdi]

Monday, May 19, 2025

"তবুও তুমি"

পর্ব ২:সতেরো বছর পরে এক বিকেলে অফিস শেষে মোবাইলে স্ক্রল করতে করতে সমুদ্র হঠাৎ দেখে মোহনা নামে একটা প্রোফাইল। চোখ কুঁচকে ছবিটা দেখে। এখনও সেই চাহনি। একটু পরিণত, কিন্তু ঠিক সেই মোহনা। দীর্ঘ সময় দ্বিধা করে শেষ পর্যন্ত ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠায়। প্রথম দিন… দ্বিতীয় দিন… তৃতীয় দিন—একসেপ্ট! কিছুক্ষণ পরেই মেসেঞ্জারে সে প্রথম মেসেজ করে— “এই নামটা তো অনেকদিন আগে শুনেছিলাম…” মোহনার রিপ্লাই— “এই চোখদুটোও খুব পরিচিত লাগছে…” এভাবেই আবার কথা শুরু হয়। প্রতিদিন নিয়মমাফিক খোজ খবর নিতে শুরু করলো সমুদ্র, "আপন"ি সম্বোধন থেকে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তুমি'তে চলে আসে তারা। প্রথমে পুরনো দিনের কথা, তারপর পছন্দ, অভিমান, বেদনা, আর অনেক না বলা অনুভূতি। দিন যায়, রাত আসে। তারা এখন প্রতিদিন কথা বলে। নিয়মিত নয়, কিন্তু অপরিহার্যভাবে। সমুদ্র অফিস থেকে ফিরে মোহনাকে একটা কবিতা লিখে পাঠায়। মোহনা রান্নার ফাঁকে সমুদ্রের পছন্দের গানটা প্লে করে দেয়। তারা জানে—তাদের জীবন আলাদা, তাদের পরিবার আছে, সন্তান আছে। তবুও একে অপরকে ছাড়া এখন কষ্ট হয়। তারা প্রেম করে না, তারা কোনো নিয়ম ভাঙে না, তারা শুধু ভালোবাসে— একটা নিরব, গভীর বন্ধনে। সমুদ্র একদিন লেখে— “তুমি কি জানো, এখনো যদি কাউকে জীবনজুড়ে ভালোবাসি, সে তুমি।” মোহনা লেখে— “আমি এখনো তোমার নাম শুনলে কেঁপে উঠি। ভালোবাসা বুকে লুকিয়ে রেখে বাঁচছি… কিন্তু তুমিই আমার সমুদ্র ছিলে, আছো, থাকবে।” --- চলবে… ৩য় পর্ব পড়তে নিচের লিংক-এ ক্লিক করুন কমেন্টে জানিয়ে দিন >>>>>>>>>>>>>>>>>[https://rb.gy/wa5pdi]

Sunday, May 18, 2025

“তবুও তুমি…”

পর্ব ১: এক বিকেলে দেখা সমুদ্র। নামটা শুনলেই চোখে ভেসে ওঠে এক বিশাল নীল শূন্যতা, যেন চুপচাপ আবেগের ঢেউয়ে ভরা কেউ। ঢাকায় পড়াশোনা শেষে একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি শুরু করেছে। বয়স হচ্ছে, তাই পরিবার পাত্রী দেখতে নিয়ে যায় একদিন। মেয়েটির নাম—মোহনা। ছোট্ট একটা শহরের মেয়ে, সাদামাটা সাজে তার মধ্যে যেন এক অদ্ভুত কোমলতা। সেদিনের বিকেলে মোহনাদের রুমের সোফায় বসে সমুদ্র আর মোহনা চোখাচোখি করেছিল মাত্র কয়েক সেকেন্ড। কিন্তু সেই অল্প সময়েই দুজনের ভেতর কিছু একটা ঘটে গিয়েছিল। মোহনা যখন পানি দিতে এলো, সমুদ্র বলেছিল, "আপনি কি গান শোনেন?" মোহনা একটু হেসে বলেছিল, "শুনি। তবে বেশি করে শুধু রবীন্দ্রসংগীত।" এইটুকুই কথা। তবে এর মধ্যেই তৈরি হয়ে গেল এক অস্পষ্ট ভালোবাসার রেখা। ভালোবাসা, অথচ না বলা পরিবারের অদৃশ্য সিদ্ধান্ত মোহনা আর সমুদ্রের বিয়েটা ভেঙে দিল। কে রাজি হয়নি, কেন হয়নি, কেউ জানলো না। সমুদ্র শুধু দেখলো, একদিন তার হাতে একটা কাগজ এল। "এ বিয়েটা হচ্ছেনা" সমুদ্র চুপ করে রইলো। একটু সময় পর পরিবারের চাপে বিয়ে করল অন্যত্র। মোহনাও বিয়ে করল—নির্বাক, নিঃশব্দ অভিমান নিয়ে। তারা কেউ কাউকে কিছু বলেনি। ভালোবাসা হয়েছিল, কিন্তু স্বীকার হয়নি। শুধু চোখে চোখ রেখে একসময় হারিয়ে গিয়েছিল। পরবর্তী পর্ব আগামী কাল... >>>>>>>>>>>>>>>>>>>> #ভালোবাসা #তবুও_তুমি #BengaliLoveStory #Heartfelt #UnspokenLove #StoryOfTheSou

"অপূর্ব প্রেম"

  প্রথম দেখা (পর্ব - ১) ঢাকার বাইরে এক ছোট শহরতলিতে অবস্থিত একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। সকাল ৮টা। স্কুলের মাঠে ছাত্রছাত্রীরা জড়ো হয়েছে। অ...